শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

‘মানুষ যাতে না খেয়ে কষ্ট না পায়, এর জন্য যা যা করণীয় করে যাচ্ছি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফাইল ফটো

তরফ নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের জন্য আজকে সারাবিশ্বই বলতে গেলে স্থবির হয়ে গেছে। সবাই ঘরবন্দি। লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে সারাবিশ্বে। উন্নত দেশ বা অনুন্নত দেশ, যাই হোক, সবার মাঝেই দেখতে পাচ্ছি এই সমস্যা।’

‘বাংলাদেশও এর বাইরে না। তারপরেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। সেই পয়লা এপ্রিল থেকে কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে এদেশের মানুষ সেটা মেনে চলে। এই ভাইরাস থেকে আমাদের দেশের মানুষকে বাঁচানো জন্য আমাদের সবাই, বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা পুলিশসহ আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা, ডাক্তার থেকে শুরু করে সব স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সবাই কিন্তু প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছেন। ধন্যবাদ জানাই দেশবাসীকে। কারণ, যখন আমরা নির্দেশ দিয়েছি, সবাই ঘরে থাকুন, তারা ঘরে থাকার চেষ্টা করেছেন, থেকেছেন,’ বলেন তিনি।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তবুও জীবন চলমান। জীবন-জীবিকার জন্য মানুষকে বাইরে যেতেই হয়। তারপরেও তাদের এই কষ্ট দূর করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে যাতে খাবার পৌঁছে যায়, তার ব্যবস্থা যেমন নেওয়ার চেষ্টা আমরা করেছি, তা ছাড়া, আমরা যে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজগুলো করি, যেমন: বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে শুরু কলে আমাদের ওএমএস চাল, যা ৩০ টাকা কেজি ছিল, সেটা আমরা ১০ টাকায় নামিয়ে আনি। তা ছাড়া, ১০ টাকা কেজিতে যে ৫০ লাখ কার্ড দেওয়া আছে, তাদেরকেও আমাদের ১০ টাকার চাল সরবরাহ করা। অর্থাৎ, মানুষ যাতে না খেয়ে কষ্ট না পায়, এর জন্য যা যা করণীয় আমরা করে যাচ্ছি।’

‘তারপরেও এটা অর্থনীতির ওপর বিরাট ধাক্কা। কারণ, আজকে যেসব দেশে আমরা রপ্তানি করতাম, সেসব দেশেও করোনার কারণে, সে দেশগুলো বন্ধ, তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ। আবার আমাদের দেশেও সেই একই অবস্থা আমাদের করতে হয়েছে মানুষের নিরাপত্তার জন্য। কারণ, এখানে মানুষের নিরাপত্তাটাই হচ্ছে আমাদের কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ’, যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরইমধ্যে আপনারা জানেন যে আমরা করোনাভাইরাসের ব্যাপারে যথাযথভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর, তারা নিয়মিত পরীক্ষা করছে এবং যা হচ্ছে প্রতিনিয়ত, প্রতিদিনই সেটা বুলেটিন আকারে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছে। ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার ৪১৬ জন শনাক্ত হয়েছেন, আর ১৪৫ জন মানুষ আমাদের দেশে মৃত্যুবরণ করেছে। বিশ্বে যে মৃত্যু বরণের সংখ্যা তার (আমাদের দেশের) থেকে অনেক অনেক বেশি। অনেক উন্নত দেশেও আরও অনেক মৃত্যু হয়েছে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com